ঘরে বসে ইনকাম করার ৮টি উপায়
প্রযুক্তির কল্যাণে ঘরে বসেই অর্থ উপার্জন করা আগের চেয়ে সহজ হয়েছে। এখন যে কেউ চাইলেই ঘরে বসে বিভিন্ন উপায়ে নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতা ব্যবহার করে আয় করতে পারেন।
প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে অনলাইনে উপার্জনের নানা পথ তৈরি হয়েছে। তবে অনলাইনে কাজ করে আয় করতে গেলে কোনো প্ল্যাটফর্ম ধরে এগোচ্ছেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা, অনলাইনে অর্থ আয়ের নানা সুযোগ থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে প্রতারণার শিকারও হতে হয়।
নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতার ওপর ভর করে বাসায় বসেই অর্থ আয়ের নানা উপায় রয়েছে। এই প্রতিবেদেনে সেরকম কিছু উপায়ের তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে।
১. ফ্রিল্যান্সিং
ঘরে বসে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি সবার আগে মাথায় আসে সেটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। এটি বর্তমানে অনেকটা জনপ্রিয়ও বটে। আপনার যদি একটি নির্দিষ্ট দক্ষতা বা প্রতিভা থাকে তবে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের একটি দুর্দান্ত উপায় ফ্রিল্যান্সিং। বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ দিয়ে থাকে।
প্রচুর ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যারা আপনাকে আপনার দক্ষতার ক্ষেত্রে যেমন লেখা, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রোগ্রামিং বা সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টে কাজ খুঁজে দেয়। এসব সাইটের মধ্যে ফাইভার ডটকম, আপওয়ার্ক ডটকম, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ও ওয়ার্কএনহায়ার ডটকমে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া যায়। এসব সাইট থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়।
২. গ্রাফিক্স ডিজাইন
ফ্রিল্যান্সিংয়ের পাশাপাশি ঘরে বসে অর্থ আয়ের ভালো উপায় হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। এক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা থাকলে আপনি যদি অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনার ডিজাইন দিয়ে রাখেন, তাহলে সেখান থেকে আয় করা সম্ভব। এমনকি আপনার তৈরি করা একটি পণ্য অনেকবার বিক্রিও হবে, অর্থাৎ একটি ভালো ডিজাইন থেকেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত আয় আসতে পারে। অনলাইনে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাফিক্সের কাজ বিক্রি করা যায়। তাছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতেও গ্রাফিকস ডিজাইনারদের অনেক চাহিদা রয়েছে।
৩. অনলাইন টিউটর
আপনি যদি কোনো বিষয়ে দক্ষ হন এবং অন্যদের সেটি শেখাতে আগ্রহী হন, সেক্ষেত্রে আপনি শিক্ষার্থীদের অনলাইন টিউটরিং করে ঘরে বসেই অর্থ উপার্জন করতে পারেন। প্রচুর অনলাইন টিউটরিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যা আপনাকে সারা বিশ্ব থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংযোগ করতে দেয়। যেমন- টুইটরডটকম, চেঙ টিউটর, প্রিপ্লি, ইউডেমি ইত্যাদি।
৪. সামাজিক মাধ্যমে ব্যবসা
আপনার যদি একটি বিশেষ প্রতিভা থাকে, যেমন কারুশিল্প বা গয়না তৈরি ইত্যাদি। আপনি পণ্য তৈরি করে, সেগুলো ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে বা ইনস্টাগ্রামে বিক্রি করতে পারেন। তাছাড়া আপনি যদি নিজের পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে চান, তাহলে একটি অনলাইন দোকানও খুলতে পারেন।
৫. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অন্য কোম্পানির পণ্য বা পরিষেবার প্রচার করে অর্থ উপার্জন করার একটি উপায় হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এ পদ্ধতিতে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবপেজ বা ব্লগ দরকার। যখন আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ চালু হবে, তখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লিংক তাতে যুক্ত করতে পারবেন। যখন আপনার সাইট থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা কোনো দর্শক কিনবেন, তখনই আপনার আয় আসতে শুরু করবে।
৬. অনুবাদ
আপনার যদি ইংরেজি কিংবা অন্য কোনো ভাষায় ভালো দক্ষতা থাকে, তাহলে সেটি কাজে লাগিয়ে আপনি ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন। অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন ডকুমেন্ট অনুবাদ করে আয় করা সম্ভব। যাদের স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, আরবি, জার্মানসহ অন্যান্য ভাষা জানা রয়েছে, তারা এসব ভাষা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ বা ইংরেজি থেকে এসব ভাষায় অনুবাদ করতে পারলে ভালো আয় করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে এ ধরনের কাজ পাওয়া যায়।
৭. কনটেন্ট রাইটিং
আপনি যদি লেখালিখিতে ভালো হন কিংবা একাধিক ভাষায় সাবলীলভাবে লিখতে পারেন, তাহলে সেই প্রতিভা ব্যবহার করে আয় করতে পারবেন। আপনার আর্টিকেল লেখার মানের ওপর ভিত্তি করে আয় আসবে। এক্ষেত্রে কাজদাতা নির্দিষ্ট নীতি মেনে লেখার জন্যও বলতে পারেন।
৮. ইউটিউব
নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলে তাতে ভিডিও আপলোড করে সেখান থেকে আয় করতে পারেন। এ জন্য অবশ্য সৃজনশীল ও ভালো এডিটিং জানতে হবে। যে বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি, সেই বিষয়ে আপনার চ্যানেলে ভিডিও না রাখলে মানুষ তা দেখবে না। ভিডিও না দেখলে আয় হবে না। চ্যানেলের সাবসক্রাইবার ও ভিডিও দেখার সময় বাড়লে আয়ের সম্ভাবনা বাড়বে।
No comments